বিবর্ন (ছায়া)

গধূলি।
সূর্য আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে।
জানালার সামনে দাড়িয়ে আছি। সামনে একটা মাঠ। কয়েকটা ছেলে খেলছে। কিছুদূরে একটা মাঝারি পাহাড়। ওটার পিছনেই সূর্য ডুবে যাচ্ছে।
তোমার কথা ভাবছি। কেমন আছো, কি করছো, সময় কিভাবে যাচ্ছে তোমার, এইসব। কেউ কি তোমাকে ঔষধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তুমি কি এখনো রাত জেগে বই পড়? কেউ মানা করে? কেউ কি তোমাকে এখন একটু সঙ্গ দেয়? কেউ কি তোমার জন্য, তোমাকে দেখার জন্য, তোমার একা একা না লাগার জন্য ৩০০ মাইল দূর থেকে ফিরে আসে? কেউ কি তোমাকে আমার মতো ভালোবাসে?
- জাফর!
- হা মা। বল।
- বের হলে একটু বলে যাস তো বাবা।
- আচ্ছা।
মা রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। আবার জানালার দিকে তাকালাম। সূর্য ডুবে গেছে। ছেলেরা চলে যাচ্ছে।একটা পাখির ঝাক উড়ে যাচ্ছে। হালকা বাতাস বইছে। কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলাম। এরপর… এরপর জানালাটা বন্ধ করলাম। চোখটা মুছলাম। মা'র রুমে গেলাম।
- মা! কি লাগবে?
- এক কেজি গম আনিস।
- আচ্ছা।
- কোথায় যাবি এমনি তুই?
- আযান দিচ্ছে। নামায পড়তে।

Comments

Popular posts from this blog

বিবর্ণ (বাস্তব জীবনের অভিঙ্গতা)

বিবর্ণ (ছায়া)